গর্ভাবস্থায় হাঁসের ডিম খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় হাঁসের ডিম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না। তাই আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনাকে সঠিকভাবে জানোর চেষ্টা করবো। সেজন্য আর্টিকেলটি মনযোগ সহকারে পড়ুন।
আপনি যদি আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ে থাকেন। তাহলে হাঁসের ডিম খাওয়ার উপকারিতা,অপকারিতা, গর্ভাবস্থায় হাঁসের ডিম খাওয়া যাবে কিনা এই সকল বিষয়ে সঠিক ধারনা পেয়ে যাবেন।

পেজসূচীপত্রঃগর্ভাবস্থায় হাঁসের ডিম খাওয়ার উপকারিতা 

গর্ভাবস্থায় হাঁসের ডিম খাওয়ার উপকারিতা 

গর্ভাবস্থায় হাঁসের ডিম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের অনেকের অজানা কিছু তথ্য আছে। সাধারণত গর্ভাবস্থায় অনেক নিয়ম মেনে চলতে হয়।এ সময় প্রতিটি মেয়েদের ভিতরে ভয় কাজ করে। তাই এ সময় অনেক কিছু জানার প্রয়োজন হয়।আপনি নিশ্চয় জানতে চান গর্ভবতী মায়েদের হাঁসের ডিমে কি কি উপকার রয়েছে। 

গর্ভাবস্থায় হাঁসের ডিম খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। কিন্তু আপনাকে এটাও মনে রাখতে হবে এমন অবস্থায় কোনভাবে আধা সিদ্ধ বা কাঁচা ডিম খাওয়া যাবে না। হাঁসের ডিম সুন্দর করে সিদ্ধ করে খাবেন এতে করে আপনারা অনেক উপকার পাবেন।একজন গর্ভবতী মা হাঁসের ডিম খেলে তার পেটের বাচ্চার স্বাস্থ্য ও মস্তিষ্ক ভালো রাখতে সাহায্য করে। 

পাশাপাশি বাচ্চার বিকাশে ও ভূমিকা রাখে।গবেষণায় দেখা গেছে একজন গর্ভবতী মায়েদের হাঁসের ডিম খাওয়ার জন্য তাদের উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস কমাতে সহায়তা করে। যদি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী গর্ভবতী মায়েরা হাঁসের ডিম খাই তাহলে তাদের ও বাচ্চা উভয়ই স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।তাহলে বুঝতে পেরেছেন হাঁসের ডিম খাওয়ার উপকারিতা কতটুকু। 

গর্ভাবস্থায় আধা সিদ্ধ ডিম খেলে কি হয়

গর্ভাবস্থায় হাঁসের ডিম খাওয়ার উপকারিতার পাশাপাশি আপনারা জানুন গর্ভাবস্থায় আধা সিদ্ধ ডিম খেলে কি হয়।অনেক গর্ভবতী মায়েরা আছেন পুরো সিদ্ধ ডিম খেতে পছন্দ করেন না। আধা সিদ্ধ বা কাঁচা ডিম খেতে পছন্দ করেন। অনেকে আধা সিদ্ধ ডিম কে হাফ বয়েল বলেন।গর্ভবতী অবস্থায় যে কোন খাবার সহজে খাওয়া যায় না। 

কারন এসময় সমস্যা হলে পেটের বাচ্চারও ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।তাই আপনাদের কে সকল খাবার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। চলুন এবার জেনে যাক গর্ভাবস্থায় আধা সিদ্ধ ডিম খেলে বা খাওয়া যাবে কিনা। হাঁসের কাঁচা বা আধা সিদ্ধ ডিমে সালমোনেলা নামক ব্যাকটেরিয়া বহন করে যার ফলে খাদ্য বিষক্রিয়া ঘটায়।

অনেক গর্ভবতী নারীরা এই আধা সিদ্ধ বা কাঁচা ডিম রান্না করে খেয়ে থাকেন।এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের খবার তৈরি করে খেয়ে থাকেন। এসকল খাবার খাওয়ার জন্য গর্ভবতী মায়েদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা  হয়ে থাকে।তাই এ সময় এধরনের খাদ্য থেকে দূরে থাকা ভালো।কারন শুধু মায়ের সমস্যা না বরং বাচ্চারও সমস্যা হয়।

আপনি এমন অবস্থায় যদি ডিম খেতে চান তাহলে ডিমের সাদা অংশ বা ডিমের কুসুম শক্ত করে খাবেন। এতে করে আপনি ও বাচ্চা দুজনেই ভালো থাকবেন। ইচ্ছে হলে ভালো করে সিদ্ধ করে ডিম রান্না করে ও আপনি খেতে পারেন কোন সমস্যা নেই। কিন্তু আধা সিদ্ধ ডিম কোন ভাবেই খাওয়া যাবে না। আশা করছি এতক্ষণ আপনি আর্টিকেল টি পড়ে বিস্তারিত বুঝতে পারছেন।

গর্ভাবস্থায় প্রথম ৩মাস যা খাবেন

গর্ভধারণের পর থেকে নিজের এবং গর্ভের বাচ্চার জন্য সুস্বাস্থ্য রক্ষার জন্য বিশেষ যত্ন নিতে হয়।গর্ভাবস্থায় সুষম খাদ্যাভাস মেনে চলা খুব গুরুত্বপূর্ণ।গর্ভাবস্থার প্রথম  ৩ মাস খাদ্য তালিকায় ফলিক অ্যাসিড, আয়রন, ক্যালসিয়াম,ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড, জিংক ও প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার রাখতে হয়। তবে প্রতিটি মানুষের শরীর আলাদা ধরনের।
এসকল পুষ্টি উপাদান আপনার এবং নবজাতকের বৃদ্ধি ও বিকাশে সহায়তা করে এবং বিভিন্ন জম্মগত ট্রুটি রোধে সহায়তা করবে।আমাদের দেশে প্রায় সকল মেয়েদের শরীরে আয়রন  এর অভাব বেশি দেখা দেয়। গর্ভাবস্থায় ফলিক এসিড খুব গুরুত্বপূর্ণ। ফলিক এসিড একটি ভিটামিন-বি।তার পাশাপাশি দরকার হয় ক্যালসিয়াম।

গর্ভাবতী অবস্থায় যদি কোন মেয়ের শরীরে আয়রন এর ঘাটতি দেখা যায়।তাহলে গর্ভের শিশুর শরীরে অক্সিজেন এর গুরুত্ব বা পৌঁছায় কম। ফলে শিশুর গঠন ও বৃদ্ধি  বিঘ্নিত হয়। এই সময় আয়রন সমৃদ্ধ খাবার  যেমন- পালংশাক,ডিম,মুরগির মাংস,ছোলা,খেজুর কলা ইত্যাদি খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। পাশাপাশি ফলিক এসিড সমৃদ্ধ খাবার ও তালিকায় রাখা লাগবে।

যেমন-আখরোট,ছোলা,ডিম,মুগ,সূর্যমুখী বীজ,শতমূলী ইত্যাদি খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। হাঁসের ডিমে আয়রন, ক্যালসিয়াম,ভিটামিন-এ,ভিটামিন-বি,ফলিক এসিড সমৃদ্ধ থাকার কারণে সব সময় তালিকায় রাখা যায়। এ থেকে বোঝা যায় যে গর্ভাবস্থায় হাঁসের ডিমের খাওয়ার উপকারিতা  অনেক।

হাঁসের ডিমের উপকারিতা সম্পর্কে 

হাঁসের ডিমের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন এই আর্টিকেল টি পড়ার মাধ্যমে। ডিম প্রায় সকল ধরনের পুষ্টিগুন সম্পূর্ণ খাবার। বিশেষ করে ডিমকে প্রোটিন ও পুষ্টি উপাদানের শক্তি বলা হয়। মুরগির ডিম আমরা ছোট থেকেই খাওয়ার প্রতি আগ্রহী হয়ে থাকি। অন্য দিকে হাঁসের ডিম খাওয়ার ক্ষেত্রে কেমন যেন এক সন্দেহ থেকেই যায়।

সাধারণত মুরগির ডিম ও হাঁসের ডিমের স্বাদ একই রকম হয়ে থাকে তবে হাঁসের ডিমে একটু গন্ধ বেশি থাকে। মুরগির ডিম হাঁসের ডিমের তুলনায় ছোট আকৃতির হয়ে থাকে।অন্য দিকে মুরগির ডিমের থেকে হাঁসের ডিমের খোসা মোটা হওয়ায় সহজে নষ্ট হয় না। হাঁসের ডিমে গন্ধ বেশি থাকার জন্য জন্য গর্ভাবস্থায় হাঁসের ডিম খাওয়া কষ্টকর হয়।

হাঁসের ডিমের খোসা মোটা ও শক্ত হওয়ার কারণে কোন রকম ফ্রীজ ছাড়া ৫থেকে ৬সপ্তাহ বাইরে রাখা যায়। গ্রামে দেখা যায় অনেকে ডিম ভালো রাখার জন্য চালের ভিতর রাখে। তবে আমাদের মনে রাখা উচিৎ যে কোন খাবারই হোক না কেন যে কোন পার্শ্ব  প্রতিক্রিয়া থাকবেই।ঠিক তেমনি হাঁসের ডিমের  উপকারিতা ও অপকারিতা উভয়ই আছে। চলুন জেনে নিন।

  • হাঁসের ডিমে কত ক্যালারিঃসাধারণত একটি হাঁসের ডিমে ১৮১ কিলোক্যালরি, প্রোটিন ১৩.৫ গ্রাম, ফ্যাট ১৩.৭গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৭০মিলিগ্রাম, লোহা ৩মিলি গ্রাম, ভিটামিন এ ২৬৯ মাইক্রোগ্রাম। আমাদের শরীরের জন্য প্রতিদিন কাজের জন্য চাই প্রচুর শারিরিক শক্তি। ডিম দেহের শক্তি যোগান দেয়। তাই আপনি যদি প্রতিদিন সকালে একটি করে হাঁসের ডিম খান তাহলে সারাদিন ডিম আপনার শরীরে শক্তি যোগাতে সাহায্য করবে।

  • প্রোটিনের উপকারিতা  কতটুকু থাকেঃ নিত্যদিন কাজের গতি বাড়ানোর জন্য আমাদের শরীরের জন্য প্রোটিন একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তবে হাঁসের ডিমে অনেক প্রোটিন থাকার জন্য প্রতিদিন সকালে আপনি খেতে পারেন। তাহলে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন পাবেন।তাছাড়া হাঁসের ডিমেও অনেক ক্যালসিয়াম আছে যা আমদের দাঁত মজবুত করতে সাহায্য করে।

  • চোখ ভালো রাখতে ভূমিকাঃ আমাদের শরীরের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে চোখ। চোখ দিয়ে আমরা পৃথিবী দেখতে পাই।তাই চোখ ভালো রাখতে প্রচুর ভিটামিন এ দরকার হয়। হাঁসের ডিমে ভিটামিন-এ পাওয়া যায়। তাই ভিটামিন-এ এর ঘাটতি পূর্ণ করতে হাঁসের ডিম খেতে পারেন।

  • হার্ট ভালো রাখতেঃ আপনারা হাঁসের ডিম খেতে পারেন। কারণ হাঁসের ডিম হার্টে রক্ত জমাট বাধতে দেয় না। যার ফলে রক্ত চলাচল করতে কোন সমস্যা হয় না।

  • ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করেঃআপনি যদি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তাহলে নিয়মিত ভাবে প্রতিদিন সকালে একটি করে খেতে পারেন। হাঁসের ডিম খেলে পেটে অনেক সময় ধরে থাকে যার ফলে ক্ষুধার প্রবণতা কমায়।তবে অতিরিক্ত খেলে আপনার ওজন বেড়ে যাবার সম্ভাবনা থাকতে পারে।তাই পরিমাণ মত খেয়ে নিজের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

  • পিরিয়ডের সময় হাঁসের ডিম খাওয়াঃ পিরিয়ডের সময় হাঁসের ডিম খাওয়া খুবই ভালো। অনেক সময় দেখা যায় মেয়েদের অতিরিক্ত পিরিয়ডের ফলে অ্যানিমিয়া হয়ে থাকে।যার ফলে বিভিন্ন সমস্যা সম্মুখীন হতে হয়। এছাড়াও প্রচন্ড পেট ব্যাথা থাকে।তবে হাঁসের ডিমে আয়রন আছে যা অ্যানিমিয়া রোধ করে।

  • কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতেঃ আমাদের সকলের একটি জানা বিষয় যে আমাদের শরীরে একটি খারাপ কোলেস্টেরল ও একটি ভালো কোলেস্টেরল আছে। তবে হাঁসের ডিম খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে ভালো কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে। যার ফলে আমাদের শরীরে কোলেস্টেরল পরিমাণ ঠিক থাকে হাঁসের ডিম খেলে।

হাঁসের ডিম খাওয়ার নিয়ম 

গর্ভাবস্থায় হাঁসের ডিম খাওয়ার উপকারিতা অনেক তার সাথে হাঁসের ডিম খাওয়ার নিয়ম ও জানা জরুরি। সাধারণত হাঁসের ডিম খাওয়ার নিয়ম হচ্ছে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ২টি বা ১টি বা একদিন পর পর ১টি করে খাওয়া ভালো।যেহেতু হাঁসের ডিমে ক্যালসিয়াম ও আয়রন অনেক থাকে। অতিরিক্ত খেলে শরীরের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে।

প্রতিদিন ব্যায়াম করার আগে ১টি এবং ব্যায়াম শেষ করার পর ১টি করে খেলে উপকার ভালো পাওয়া যায়।দিনের শুরুতে ১টি করে হাঁসের ডিম খাওয়া অনেক ভালো। যদি আপনার শরীরের ওজন কম থাকে তাহলে প্রতিদিন আপনি ঘুমাতে যাওয়ার আগে একটি করে ডিম খেলে আপনার ওজন বাড়তে সাহায্য করবে।

সাধারণত হাঁসের ডিম খাওয়ার সময় আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে।ডিমটা কোন ভাবে যেন আধা সিদ্ধ না থাকে। সাদা এবং ডিমের কুসুম আপনাকে শক্ত করে নিয়ে খেতে হবে। আধা সিদ্ধ ডিম খেলে শরীরের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। শরীরের ওজন বা নিয়ন্ত্রণ বুঝে সবকিছু করা উচিত নইলে পরবর্তী সমস্যা সম্মুখীন হতে হয়।

হাঁসের ডিমের অপকারিতা 

হাঁসের ডিমে মুরগির ডিমের তুলনায় অনেক কোলেস্টেরল থাকে। যার জন্য আপনাদের মধ্যে যাদের উচ্চ কোলেস্টেরল আছে তাদের ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও এই হাঁসের ডিমে স্যালমোনেলা জীবাণু সংক্রমণ ঝুঁকি বেশি থাকে। হাঁসের ডিম বলে না কোনকিছুই অতিরিক্ত খাওয়া ঠিক না। ঠিক তেমনি অতিরিক্ত হাঁসের ডিম খাওয়া ভালো না।

অতিরিক্ত হাঁসের ডিম খেলে কোলেস্টেরল মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। এবং খারাপ কোলেস্টেরল হৃদরোগের ঝুঁকি হতে পারে। নিঃসন্দেহে হাঁসের ডিম খাওয়া ভালো তবে কিছু অপকারিতাও আছে। সাধারণত হাঁসের ডিম মুরগির ডিমের থেকে দাম বেশি। চলুন জেনে নিই।

  • এক হালি মুরগির ডিম ৬০ টাকা
  • এক হালি হাঁসের ডিম ৮০ টাকা
  • মুরগির এক ডজন ডিমের দাম ১৮০ টাকা
  • হাঁসে এক ডজন ডিমের দাম  ২৪০ টাকা 

অতএব একজন দিনমজুর পক্ষে হাঁসের ডিম কিনা অসম্ভব। তাঁরা যেটা কম পাবে সেটার প্রতি আগ্রহী বেশি হয়ে থাকেন।ফলে তারা হাঁসের ডিমের জায়গায় মুরগির ডিম কিনে চাহিদা পূরণ করে। তাই বলা বাহুল্য যে হাঁস এবং মুরগির ডিম এক দাম হওয়া উচিত।

প্রতিদিন হাঁসের ডিম খেলে কি হয় 

প্রতিদিন হাঁসের ডিম খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। তবে পাশাপাশি অপকারিতা ও রয়েছে।হাঁসের ডিমে ভিটামিন-বি ১২ হৃদরোগ  এবং ক্যান্সারের ঝুকি কমায়। তাছাড়া হাঁসের ডিমে ভিটামিন এ  রয়েছে যা আমাদের দৃষ্টি শক্তি বাড়ানোর জন্য দরকার হয়। হাঁসের ডিমে সেলিনিয়াম আছে যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
তারপর হাঁসের ডিমে রিব্লোফ্লাভিন সমৃদ্ধ যা আমাদের শরীরের জন্য শক্তিশালী এন্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে ভূমিকা রাখে।তবে অতিরিক্ত হাঁসের ডিম খাওয়া একদমই ভালো না।প্রতিদিন আপনার পরিশ্রমের ওপর নির্ভর করে হাঁসের ডিম খাওয়া উচিত।আপনি কি ধরনের কাজ করবেন তার ওপর নির্ভর করে হাঁসের ডিম খাবেন।

হাঁসের ডিম খেলে কি প্রেশার বাড়ে

হাঁসের ডিম খেলে প্রশার বাড়ে। যদি কোন ব্যাক্তির প্রেশার কমে যায় তাহলে তাকে দুটো করে ডিম খাওয়ালে প্রেশার বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু  অন্য দিকে প্রেশার বাড়াতে হাঁসের ডিম খেলে অতিরিক্ত তাহলে হৃদরোগ ও উচ্চ কোলেস্টেরল ঝুঁকি থাকে। তবে আপনারা যদি প্রতিদিন দুটো করে ডিম খান তাহলে প্রেশার বাড়বে না।

এধরনের রোগ যাদের আছে। তারা সিদ্ধ ডিম খাওয়ার চেয়ে ভাজা ডিম খেলে ভালো উপকার পাবেন। তাছাড়া অনেকের হঠাৎ করে প্রেশার কমে যায় সেক্ষেত্রে সাথে সাথে দুটো হাঁসের ডিম খেলে কোন সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। তাতেও যদি ভয় থাকে তাহলে আপনারা চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।

হাঁসের ডিমে কি এলার্জি আছে 

হাঁসের ডিমে কি এলার্জি আছে। চলুন জেনে নিন। তবে এলার্জি এমন একটা সংক্রমণ রোগ কার কোন খাবারে কখন এলার্জি হবে কেউ সঠিক জানি না।তবে এলার্জি যেকোন ব্যক্তির যে কোন খাবারে হতে পারে। তবে কতা হলো কোন খাবারে কোন এলার্জি আছে শুধুমাত্র ঐ ব্যক্তিই বলতে পারবে যার এলার্জি আছে। তাই কার কোন খাবারে এলার্জি হবে সে ভালো জানে।

এলার্জিতে আক্রান্ত ব্যক্তি যদি হাঁসের ডিম খাওয়ার পর তার শরীরে কোন প্রকার এলার্জির উপসর্গ না দেখা যায়। তাহলে বুঝতে হবে ঐ ব্যক্তির হাঁসের ডিমে এলার্জি নেই। সাধারণত যাদের চর্মরোগ ও এলার্জি আছে তাদের ক্ষেত্রে ডিম এবং বেগুন এগুলো খাওয়া একদমই ঠিক না। খাবার পর সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার ঝুকি থাকে।

শেষকথাঃ গর্ভাবস্থায় হাঁসের ডিম খাওয়ার উপকারিতা 

গর্ভাবস্থায় হাঁসের ডিম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আমাদের দেশের গর্ভবতী মায়েরা বেশি আয়রনের অভাবে ভোগে। বিশেষ করে গ্রামের মেয়েরা। তারা স্বাস্থ্য নিয়ে বেশি যত্নশীল হতে পারে না। অপর দিকে তারা এটাও জানে না যে এমন অবস্থায় আসলে কি খাওয়া যায় বা খেতে হয় না। তারা এখনো অন্ধকারে পড়ে আছেন। 

এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য হাঁসের ডিমের উপকারিতা কতটুকু তা সম্পূর্ণভাবে ব্যাখা করা হয়েছে। গর্ভাবস্থায় হাঁসের ডিম খাওয়ার উপকারিতা অপরিসীম। হাঁসের ডিমে প্রচুর ভিটামিন এ ও ভিটামিন বি আছে যা শিশুর গঠন ও বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

প্রিয় পাঠক আশা রাখি আপনারা আর্টিকেল টি মনযোগ সহকারে সম্পূর্ণ পড়েছেন এবং হাঁসের ডিমের উপকারিতা সম্পর্কে অবগত হতে পেরেছেন। আর্টিকেল টি পড়ে ভালো লাগলে বন্ধুর সাথে শেয়ার করুন এবং এরকম আরও পোস্ট পেতে ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। আজ এপর্যন্ত আবার দেখা হবে  অন্য কোন পোস্টে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url